Header Ads Widget

ইডসএল সথপন জম অধগরহণ নয় য বললন সবসথযমনতর

ইডিসিএল স্থাপনে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে যা বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জাতীয়

যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ

অবশেষে মানিকগঞ্জে সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি (ইডিসিএল) স্থাপনে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে মুখ খুললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এ বিষয়ে তিনি বললেন, এখন পর্যন্ত কোনো জমি নির্ধারণ এবং অধিগ্রহণ হয়নি। আর্থিক লেনদেন এক পয়সাও হয়নি। কখন জমি অধিগ্রহণ হবে সুনিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে যত তাড়াতাড়ি পারি কাজটি শুরু করার চেষ্টা করব। এ বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, অনেক পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে। এ বিষয়ে খুব বেশি বলতে চাই না। একজন জনপ্রতিনিধি তার এলাকায় উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করেন। আমিও সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।

রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া নিজ বাসভবনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

তার নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, মানিকগঞ্জে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালও হয়েছে। ইডিসিএল প্রতিষ্ঠানটিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমে আমরা মানিকগঞ্জে স্থাপনের চেষ্টা করেছি। একনেকে তা পাশও হয়েছে। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেকোনো জায়গায় মৌজার দর আইন মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে। আর জমির শ্রেণি নির্ধারণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়। এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো হাত নেই। মানিকগঞ্জের অনেক জায়গায় মৌজার দরের ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যতা রয়ে গেছে। উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন, প্রতি শতক কৃষিজমি ৭৫ হাজার টাকা। আবার যেটা ভিটি জমি, তার দাম ধরা আছে ২০ হাজার টাকা অথবা ২৫ হাজার টাকা। এই অসামঞ্জস্যতা এখন অনেক জায়গায় বলবত আছে। এজন্য সরকার অনেক রাজস্ব হারাচ্ছে, কর হারাচ্ছে। অর্থাৎ কিছু লোকের করের সুবিধা নেওয়ার জন্য এই ভিটি জমির দাম ইচ্ছে করেই কম করে রেখেছে। উন্নত (ভিটি) জমির দাম তো কৃষিজমির থেকে বেশি হবে। সেখানে কর এড়ানোর জন্য উন্নত জমির দাম ২ হাজার টাকাও ধরা আছে, ৫ হাজার টাকাও ধরা বলে আমরা দেখেছি। এটা বাংলাদেশের কোথাও নেই। এটা ঠিক হওয়া উচিৎ। এই কাজটি করে থাকে আইন মন্ত্রণালয়। অবস্থা বুঝে জমির শ্রেণির পরিবর্তন করে ভূমি মন্ত্রণালয়। এ বিষয়টি আমরা আইন মন্ত্রণালয়কে পয়েন্ট আউট (বের করে) দিয়েছি।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মেঘ শিমুল এলাকায় প্রস্তাবিত প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যে জমির কথা বলা হয়েছে তা সরকারি মৌজার দর হিসেবে প্রতি শতক জমি এক লাখ টাকা ধরা আছে, যা আইন মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করেছে। অথচ এখানে বর্তমানে বাজার দর আছে দুই লাখ ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা। আমি হলফ করে বলতে পারি, বর্তমানে বাংলাদেশের যত জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে তার থেকে মানিকগঞ্জে সর্বনিম্ন দামে অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আশ্চর্যর বিষয়টি হলো দুই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প এটি। এক বছর পার হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ইতোমধ্যে সরকারের ক্ষতি হয়ে গেছে। অন্য নতুন জমির নির্ধারণ করা হলে ইডিসিএল সেটাও গ্রহণ করবে। তাতে আরও দুই বছর সময় লাগবে। এতে সরকারের প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। এই ক্ষতিটা কার? এটিও বোঝার বিষয়।

মানিকগঞ্জে প্রতিষ্ঠানটি হওয়ার বিষয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখানে প্রতিষ্ঠানটি হলে মানিকগঞ্জবাসী চাকরি করতে পারবেন। ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে। এলাকার উন্নয়ন হবে। একজন সংসদ সদস্য, একজন মন্ত্রী হিসেবে এলাকায় উন্নয়ন করার জন্যই এই চেষ্টা। প্রতিষ্ঠানটি এখানে যদি না হয়, তাহলে মানিকগঞ্জবাসী এ থেকে বঞ্চিত হবে। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রতিষ্ঠানটি এখানে হবে এবং মানিকগঞ্জবাসী এর সুবিধা পাবেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ মে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ডিসির সইয়ের অপেক্ষায়’ মন্ত্রীর পরিবারের পকেটে ঢুকবে শতকোটি টাকা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।

© JUGANTOR.COM


from JUGANTOR https://www.jugantor.com/national/694098/ইডিসিএল-স্থাপনে-জমি-অধিগ্রহণ-নিয়ে-যা-বললেন-স্বাস্থ্যমন্ত্রী
via IFTTT

Hot Widget