Header Ads Widget

শশ নঈম হতযয় ফসর আসম বছর পর গরফতর

শিশু নাঈম হত্যায় ফাঁসির আসামি ১১ বছর পর গ্রেফতার

সারাদেশ

বগুড়া ব্যুরো

এগারো বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি মো. জাকারিয়া গ্রেফতার হয়েছেন। কাহালু থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে উপজেলার উলট্ট পূর্বপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। কাহালু পৌরসভার বর্তমান মেয়র বিএনপি নেতা আবদুল মান্নান ওরফে ভাটা মান্নানের ছেলে তিনি।

বগুড়ার কাহালুতে শিশু নাঈমুল ইসলাম নাঈমকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণ ও শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ইটভাটায় পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করার মামলায় ছয় বছর আগে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়। শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে। সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওসি মাহমুদ হাসান এ তথ্য জানান।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, শিশু নাঈমুল ইসলাম নাঈম (১৩) কাহালু উপজেলার রুস্তমচাপড় গ্রামে রফিকুল ইসলাম তালুকদারের ছেলে। গত ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে জাকারিয়াসহ আসামিরা তাকে কাহালুর চারমাথা এলাকা থেকে অপহরণ করে। এরপর তাকে একটি দোকান ঘরে আটকে রেখে বাবার কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেয়ে বিকালে নাকে-মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ বস্তায় ভরে জাকারিয়া তার বাবা ভাটা মান্নানের ইটভাটায় নেয়। সেখানে জলন্ত চিমনির মধ্যে লাশ ফেলে দেওয়া হয়। 

এ ঘটনায় শিশুর বাবা কাহালু থানায় জাকারিয়াসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরবর্তীতে পুলিশ ভাটা থেকে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করে।

বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হাফিজুর রহমান গত ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি নৃশংস এ হত্যা মামলায় উলট্ট পূর্বপাড়ার জাকারিয়া ও একই গ্রামের মো. ডালিমকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন।

অপর আসামি ভাটার ফায়ারম্যান আবদুল মতিনকে সাত বছরের সশ্রম সাজা দেন। তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

কাহালু থানার ওসি মাহমুদ হাসান জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার উলট্ট পূর্বপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. জাকারিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সে পলাতক ছিল। শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

© JUGANTOR.COM


from JUGANTOR https://www.jugantor.com/country-news/693044/শিশু-নাঈম-হত্যায়-ফাঁসির-আসামি-১১-বছর-পর-গ্রেফতার
via IFTTT

Hot Widget