Header Ads Widget

বব লশ হয় ফরবন ভবতও পর ন মডকল শকষরথর কনন

‘বাবা লাশ হয়ে ফিরবেন ভাবতেও পারি না’– মেডিকেল শিক্ষার্থীর কান্না

সারাদেশ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

‘অ্যাম্বুলেন্সে করে অসুস্থ বাবাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়; কিন্তু সেখানে আর তার যাওয়া হলো না। ভাবতেই পারিনি এভাবে বাবা আমাদের ছেড়ে চিরকালের জন্য চলে যাবেন।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সামচুল আলমের ছেলে গাজি মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াদুল আলম।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব মিয়াপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হন। এর মধ্যে সামচুল আলম একজন।

সামচুল আলমের ছেলে রিয়াদুল আলম বলেন, গত চার বছর ধরে মানসিক অসুস্থ ছিলেন তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক সামচুল আলম (৬০)। এ কারণে দুই বছর আগে তিনি চাকরি থেকে অবসরে যান। দীর্ঘদিন যাবত ঢাকার কেরানীগঞ্জের মডার্ন সাইকিট্রিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। গত মাসে বাসায় আসেন।

তিনি বলেন, কয়েক দিন হলো আবারো তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। দুদিন আগে হাসপাতালে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে পাঁচ সদস্যের একটি টিম খুলনায় আসে এবং বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাবাকে নিয়ে যায়। দেড় ঘণ্টা পর জানতে পারি বাবাকে নিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স এক্সিডেন্ট করেছে। তখনই আমি রওনা হয়ে গোপালগঞ্জে এসে দেখি বাবার নিথর দেহ হাসপাতালে পড়ে আছে।

সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদরের পূর্ব মিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা মাটি কাটা ভেকু বহনকারী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় অ্যাম্বুলেন্সটির। এতে ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সে থাকা সামচুল আলমসহ তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও চারজন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার অ্যাম্বুলেন্স চালক মোমিন খানকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- খুলনার সামচুল হক রোডের বাসিন্দা ও খুলনা শিপইয়ার্ডের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসা সামচুল আমল (৬০), অ্যাম্বুলেন্স চালক রাজবাড়ীর কালুখালির মোমিন খান (৪২), ফয়সাল (২৫) ও পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জুয়েল হোসেন (৩৬)। তারা সবাই অ্যাম্বুলেন্সে ছিলেন।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- ট্রাকচালক পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মোহাম্মাদ আলী সেখ (৭০), পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার কামাল হোসেন (৪২) ও বায়েজিদ হোসেন ( ৩৫)।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ জোবায়ের আহমেদ গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে হতাহতদের খোঁজ নেন। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার ও আহতদের ১০ হাজার টাকা করে দেন।

© JUGANTOR.COM


from JUGANTOR https://www.jugantor.com/country-news/693040/বাবা-লাশ-হয়ে-ফিরবেন-ভাবতেও-পারি-না–-মেডিকেল-শিক্ষার্থীর-কান্না
via IFTTT

Hot Widget